করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আবারও সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে স্কুল কলেজগুলোতে। তবে এ জন্য পালন করতে হবে বেশ কিছু শর্ত। এসব শর্ত ঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে কর্তৃপক্ষ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক উইং এর পরিচালক মোঃ বেলাল হোসাইন বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো এবং প্রতিটি স্কুলের ওপর প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট দেয়া হবে। যেখানে পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষ নেই সেখানে বিকল্প দিনে ক্লাস হবে”
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড: সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক বলেছেন, তিনটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে – তাপমাত্রা পরীক্ষা করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা করা, প্রবেশের পর স্বাস্থ্যবিধি মানা বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
তিনি আরও বলেন, “মোটা দাগে এগুলো অবশ্য করণীয়। এরপর পরিস্থিতি বুঝে আমরা পরবর্তী বিষয়গুলো বলবো।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন রোববার এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হবে মন্ত্রণালয়ে এবং সেখানেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় চূড়ান্ত করা হবে।
সরকারি স্কুলগুলোতে এরই মধ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় তৈরি করা একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে সবসময় মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের তিন ফুট শারীরিক দূরত্বে রাখা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার কথা আছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেণি কক্ষে ৫ ফুটের চেয়ে ছোট আকারের বেঞ্চিতে একজন ও এর চেয়ে বড় আকারের বেঞ্চিতে দুজন শিক্ষার্থী বসানো যাবে।
কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম দিকে পাবলিক পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরাই বেশি আসবে। বাকিদের স্কুলে আসার জন্য রোটেশন সিস্টেম অর্থাৎ আজ যারা আসবে তারা কাল আসবেনা-এই নীতি অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ১২ই সেপ্টেম্বরের আগেই স্কুলগুলোকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত করা ছাড়াও স্কুলে কোভিড সংক্রান্ত ব্যবস্থা অর্থাৎ হাত ধোয়া, তাপমাত্রা পরীক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।